কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে পলিনেটরের গুরুত্ব
এবং এদের সুরক্ষায় করণীয়
ড. মোঃ আলতাফ হোসেন
বৈচিত্র্যময় অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর সমন্বয়ে সৃষ্টিকর্তা পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। উদ্ভিদকুল স্বাধীনভাবে বেড়ে উঠে এবং নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করে। কিন্তু প্রাণীকুল খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল এবং অধিকাংশ উদ্ভিদের ফল ও বীজ ধারণের নিমিত্তে অত্যাবশ্যকীয় পরাগায়ন বা পলিনেশন সংঘটিত হওয়ার জন্য প্রাণীকুলের সহায়তা প্রয়োজন। যে সকল প্রাণীকুল পরাগায়ন সংঘটিত করে থাকে তাদেরকে পলিনেটর বলে। এরা ফুলের পুরুষ অংশ অর্থাৎ পরাগধানী থেকে পরাগরেণু বহন করে একই ফুল বা অন্য ফুলের স্ত্রী অংশে অর্থাৎ গর্ভমু-ে স্থানান্তরে সহায়তা করে ফুলের নিষেকক্রিয়া সম্পন্ন করে। ফলে ফল ও বীজ তৈরি হয়, যা নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয়। সুতরাং ফল ও বীজ তৈরির জন্য পরাগায়ন অত্যাবশ্যক প্রক্রিয়া। যা কীটপতঙ্গ, পাখি, বিভিন্ন ধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী, বাতাস, পানি এবং মহাকর্ষীয় বল ইত্যাদি বাহকের মাধ্যমে।
এক লাখেরও বেশি অমেরুদন্ডী প্রাণী যেমন- মৌমাছি, প্রজাপতি, বিটল, মথ, বোলতা, বিভিন্ন মাছি এবং এক হাজারেরও বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, সরীসৃপ ও উভচর প্রাণী উদ্ভিদের পরাগায়ন করে থাকে। বন্যপ্রাণীদের এই বৈচিত্র্যময় গ্রুপ তাদের খাদ্য যেমন- ফুলের আমিষ সমৃদ্ধ পরাগরেণু এবং উচ্চ শক্তিসম্পন্ন নেকটার সংগ্রহের জন্য গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায় এবং পরাগরেণু বহন ও স্থানান্তর করে এভাবে ফুলকে নিষিক্ত করে ফল ও বীজ ধারণে সহায়তা করার মাধ্যমে উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি করে।
এসব বাহকের মধ্যে শুধু কীটপতঙ্গ দ্বারাই পরাগায়ন নির্ভর করে পৃথিবীর তিন-চতুর্থাংশের বেশি ফসলের উৎপাদন। যার অধিকাংশই ফল, সবজি, তেল, ডাল, নাট, মসলা, কফি এবং কোকো জাতীয় ফসল। কীটপতঙ্গ হচ্ছে মাঠ ও উদ্যান ফসলের জন্য সবচেয়ে সাধারণ এবং কার্যকরী পরাগায়নকারী (চড়ষষরহধঃড়ৎ)। এদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মৌমাছি, মাছি, বিটল, প্রজাপতি, মথ, বোলতা ইত্যাদি। গবেষণায় দেখা যায়, শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশি পুষ্পধারণকারী উদ্ভিদের পরাগায়ন নির্ভর করে কীটপতঙ্গ তথা বিভিন্ন প্রজাতির মধু সংগ্রহকারী মাছির উপর। পৃথিবীতে ২৫০০০ এর বেশি প্রজাতির মধু সংগ্রহকারী মাছি আছে। যাদের মধ্যে রয়েছে- মৌমাছি, ভ্রমর, স্টিংলেস-বি, সলিটারী-বি ইত্যাদি।
আবার এই মাছিগুলোর মধ্যে মৌমাছি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কার্যকর, দক্ষ এবং গুরুত্বপূর্ণ পলিনেটর। তারা আমাদের শস্য এবং বন্য উদ্ভিদ উভয়কেই পরাগায়ন করে থাকে। মৌমাছি পৃথিবীর ৭০% চাষাবাদকৃত ফসলকে পরাগায়িত (চড়ষষরহধঃব) করে থাকে। মৌমাছি, মধু মৌমাছি বা ভ্রমর যখন এক ফুল থেকে অন্য ফুলে নেকটার এবং পরাগরেণু সংগ্রহের জন্য ভ্রমণ করে তখন তাদের দেহের সংগে পরাগধানীর ঘর্ষনের ফলে স্কোপায় অথবা পোলেন বাস্কেটে পরাগরেণু লেগে যায়। এক ফুল থেকে যখন অন্য ফুলে ভ্রমণ করে তখন অন্য ফুলের গর্ভমু-ে পরাগরেণু স্থানান্তরিত হয়, এভাবে তারা নিজের অজান্তেই পরাগায়নের মহৎ কাজটি করে ফেলে, যার ফলশ্রুতিতে আমরা উদ্ভিদ থেকে ফল, সবজি ও নাট জাতীয় বিভিন্ন খাদ্য পেয়ে থাকি, নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় এবং ইকোসিস্টেম সুরক্ষিত থাকে। আমাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, পানীয়, ওষুধ, তেল ও মসলাজাতীয় ফসল উৎপাদনের জন্য পৃথিবীতে ১,৪০০ ধরণেরও বেশি ফসল উদ্ভিদ জন্মানো হয় এবং এদের প্রায় ৮০ ভাগই প্রাণী/জীব পরাগায়িত।
প্রজাপতি এবং মথ ও উদ্ভিদকে বিভিন্ন মাত্রায় পরাগায়নের সাহায্য করে থাকে। এরা ফুল থেকে নেকটার সংগ্রহ করতে গিয়ে পরাগায়ন সংঘটিত করে থাকে। নলাকৃতির উজ্জল রঙ্গিন ফুল- যেগুলো দিনের বেলা ফোটে এবং যার উপর ভালোভাবে অবতরণ করা যায় এমন ধরণের ফুলের প্রতি প্রজাপতিরা আকৃষ্ট হয়। অন্য দিকে নলাকৃতির ফ্যাকাশে অনুজ্জ¦ল ফুল যারা খুব সুগন্ধিযুক্ত এবং রাতে ফোটে এ ধরণের ফুলের প্রতি মথসমূহ আকৃষ্ট হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির বিটল, বোলতা, মিজ, থ্রিপস, হোভার ফ্লাই, ফ্রুট ফ্লাই, বি ফ্লাই, পিঁপড়া এমনকি মশাও পলিনেটর হিসেবে কাজ করে থাকে।
মেরুদ-ী প্রাণীদের মধ্যে বাদুর, বিভিন্ন ধরণের পাখি যেমন- হামিংবার্ড, সানবার্ড এবং অন্যান্যদের মধ্যে বানর,ভ্যাম-বিড়াল, ইঁদুর, টিকটিকি ইত্যাদি প্রাণীও পলিনেটর হিসেবে কাজ করে থাকে। এ ছাড়া মানুষ নিজেও হাত দ্বারা পরাগায়ন করে। বিভিন্ন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
গ্রীষ্মপ্রধান এবং মরুভূমি আবহাওয়ায় বাদুর একটি গুরুত্বপূর্ণ পলিনেটর। আফ্রিকা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং প্যাসিফিক আইল্যান্ডের অধিকাংশ পুষ্প উৎপাদনকারী উদ্ভিদে বাদুর পরাগায়ন করে থাকে। ১,৮০,০০০ এর বেশি উদ্ভিদ প্রজাতিতে পলিনেটরেরা পলিনেশন সার্ভিস প্রদান করে থাকে। আমাদের প্রতি ৩ গ্রাস খাবারের ১ গ্রাস পলিনেটর পলিনেটেড খাবার। পলিনেটররা শুধু আমাদের খাদ্য উৎপাদনের জন্যই প্রয়োজনীয় নয়, এরা বিভিন্ন প্রাণীর খাদ্য ও আবাসের জন্যও সহায়তা করে। এরা নির্মল বাতাসের সুস্থ ইকোসিস্টেম, মাটি ক্ষয়রোধ করে মাটিকে স্থায়ী করা এবং দূষিত আবহাওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন গাছে ফল ও বীজ ধারণে সহায়তার মাধ্যমে বণ্যপ্রাণীদের বেঁচে থাকতে সহায়তা করে থাকে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, পলিনেটর ছাড়া মানবকূলসহ পৃথিবীর স্থলজ ইকোসিস্টেম নষ্ট হবে।
পলিনেটর পপুলেশন
বর্তমানে পলিনেটরের পপুলেশন প্রতিনিয়তই কমে যাচ্ছে। মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণে পলিনেটরের প্রাচুর্য্যতা, বৈচিত্র্যতা এবং স্বাস্থ্য হুমকীর সম্মুখীন হচ্ছে। সাম্প্রতিক দশকে জলবায়ূ পরিবর্তনের ফলে কিছু কিছু বন্য পলিনেটর প্রজাতির পরিভ্রমণ, প্রাচুর্য্যতা এবং ঋতুভিত্তিক কার্যক্রমের পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষ তার কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে প্রাকৃতিক ভূচিত্র এবং ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন এনেছে যার ফলে বন্য পলিনেটরের প্রাকৃতিক আবাসস্থল কমে যাচ্ছে।
প্রাকৃতিক কীটপতঙ্গ পলিনেটর কমে যাওয়ার একটি নির্দেশক হচ্ছে, প্রয়োজনীয় সকল কৃষি পরিচর্যা করা সত্ত্বেও ফসলের ফলন ও গুণগত মান কমে যাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে দেখা যায় যে, ভারতের হিমাচল প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে, উত্তর পাকিস্তানে এবং চীনের কিছু কিছু অংশে সকল কৃষি পরিচর্যা করা সত্ত্বেও ফলজাতীয় শস্য যেমন- আপেল, আলমন্ডস, চেরি এবং নাশপাতির উৎপাদন ও গুণগতমান কমে যাচ্ছে।
হিমালয়ান অঞ্চলে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে মৌমাছি পালন করে তাদের দ্বারা পরাগায়ন ঘটিয়ে বিভিন্ন ধরণের ফলের ফলধারণ ও গুণগতমান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ফল ঝরে পড়া কমে গিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ- আপেল, পীচ, পাম, সাইট্রাস, স্ট্রবেরী ইত্যাদি ফলের ফলধারণ বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে- শতকরা ১০, ২২, ১৩, ২৪ এবং ১১২ ভাগ এবং ফলের ওজন বেড়েছে যথাক্রমে- শতকরা ৩৩, ৪৪, ৩৯, ৩৫ এবং ৪৮ ভাগ। আবার দেখা গেছে মৌমাছি পরাগায়নের দ্বারা লেবু জাতীয় ফলের রস ও মিষ্টতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের সবজি জাতীয় ফসল যেমন- বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা, লেটুস ইত্যাদি ফসলের ফলধারণ বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে- শতকরা ২৮, ২৪, ২৩ এবং ১২ ভাগ এবং বীজধারণ বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে- শতকরা ৪০, ৩৭, ৩৪ এবং ৯ ভাগ। গবেষণায় দেখা গেছে নিয়ন্ত্রিত মৌমাছি পরাগায়ন তেলবীজ জাতীয় ফসল যেমন- সরিষা ও রাইজাতীয় ফসল এবং সূর্যমূখীতে জাতভেদে শতকরা ২০-৪০ ভাগ পর্যন্ত ফলন বৃদ্ধি করে এবং এ ছাড়াও বীজে তেলের পরিমাণ ও বীজের অংকুরোদগম হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দেয়। মসলাজাতীয় ফসল যেমন- পেঁয়াজ বীজ, ধনিয়া, কালোজিরা, মৌরি, শলুক, ফিরিঙ্গি ইত্যাদি ফসলের ফলন গড়ে ২০-৩০% বেড়ে যায় এবং বীজের সজীবতা ও অংকুরোদগম হারও বৃদ্ধি পায়।
ভারতের তামিলনাডু কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে মৌমাছি পরাগায়নের ফলে যথাক্রমে সরিষার শতকরা ৪৩ ভাগ, সূর্যমুখীর শতকরা ৩২-৪৮ ভাগ, তুলার শতকরা ১৭-১৯ ভাগ, পেঁয়াজের শতকরা ৯৩ ভাগ এবং আপেলের শতকরা ৪৪ ভাগ পর্যন্ত ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।
সুতরাং কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি, ফসলের গুণগতমান এবং উৎকর্ষ সাধনে পলিনেটরের সুরক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রয়োজন।
পলিনেটর সুরক্ষায় বালাইনাশক ব্যবহারে করণীয় : সরাসরি ফুলে বালাইনাশক স্প্রে করা যাবে না। সাধারণত দুপুরের আগে পলিনেটররা যখন ফুলে মধু সংগ্রহ করে সেসময় স্প্রে করা যাবে না। বিকেলে মৌমাছিগুলো তাদের মৌচাকে ফিরে গেলে স্প্রে করতে হবে। সব সময়ই বালাইনাশকের প্যাকেটে/বোতলের লেবেলে ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণ করে স্প্রে করতে হবে। বিশেষ করে পরিবেশের প্রতি ঝুঁকির দিকটা অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। তরল বালাইনাশকের তুলনায় দানাদার বালাইনাশককে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। কেননা দানাদার বালাইনাশককে গাছের উপরিপৃষ্ঠে কম অবশেষ থাকে। যতটুকু সম্ভব শুধুমাত্র টার্গেট পেস্টকে স্প্রে করার চেষ্টা করতে হবে। মৌমাছি এবং অন্যান্য পলিনেটরদের জন্য পানির প্রয়োজন হয়। এজন্য খোলা জায়গায় কোন পাত্রে অথবা কোন চৌবাচ্চায় পানি আছে এমন জায়গায় কোন বালাইনাশক না পড়ে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। স্থানীয় আবহাওয়া ও মাটির সাথে খাপ খায় এবং যেসব ফসলের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য কম বালাইনাশক প্রয়োজন হয় সে সব ফসলের চাষ করতে হবে।
পলিনেটর পপুলেশনকে উন্নত করতে করণীয় : সংরক্ষণ কৃষির মাধ্যমে পরিবেশে গাছপালা বৃদ্ধি করতে হবে। খাদ্য উৎপাদনের ব্যাপকতা/তীব্রতা বাড়াতে হবে। এতে জীববৈচিত্র্যের উন্নয়ন হবে। যা পলিনেটর পপুলেশন উন্নত করবে। কৃষি বনায়ন করা এবং কৃষি বনায়ন কার্যক্রমে পুষ্পোদগম উদ্ভিদ যেন প্রাধান্য পায় সে দিকে নজর রাখতে হবে। কৃষির সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে কীটপতঙ্গ পরাগায়ন তথা মৌমাছির পরাগায়নের গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে এবং তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য আবাসস্থলের সংরক্ষণ করতে হবে। একক উদ্ভিদের চেয়ে ঝাড় আকারে উদ্ভিদ জন্মাতে হবে, যাতে অধিক পলিনেটরকে আকর্ষণ করে। বাড়ির পিছনের উঠোনে পলিনেটর বান্ধব গাছপালা লাগাতে হবে। যে সকল উদ্ভিদ যারা বছরের বিভিন্ন সময়ব্যাপি ফুল উৎপাদন করে সেসকল উদ্ভিদকে পছন্দ করে নির্বাচন করতে হবে, যাতে পুরো মৌসুমে নেকটার ও পরাগরেণুর জোগান থাকে।
পরিশেষে বলা যায়, পলিনেটর ও উদ্ভিদকুল তথা কৃষির উৎপাদন ও উৎকর্ষ সাধন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আমাদের অন্ন, বন্ত্র ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা ও সুরক্ষায় পলিনেটর অত্যাবশ্যকীয়। সুস্থ ও সুন্দর ইকোসিস্টেম বজায় রাখতে এখনই পলিনেটরের গুরুত্ব ও সুরক্ষা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভাবতে হবে এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
লেখক : মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কীটতত্ত্ব বিভাগ, ডাল গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঈশ্বরদী, পাবনা। মোবাইল নম্বর: ০১৭২৫-০৩৪৫৯৫,Email:hossain.draltaf@gmail.com